সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর অভিযানে ইদলিব ছেড়ে পালিয়েছে লক্ষাধিক মানুষ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সেনাবাহিনী উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে। রাশিয়ার সহযোগিতায় এরই মধ্যে শহরটিতে অগ্রসর হয়েছে আসাদ বাহিনী। ভয়াবহ সংঘর্ষের আশঙ্কায় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে ঐ এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। এদিকে নতুন করে আর শরণার্থী গ্রহণের ক্ষমতা তুরস্কের নেই বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। শরণার্থীদের ইউরোপে পাঠানোর হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
সিরিয়ার রেসপন্স কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ এর আগে জানিয়েছিল, গত এক সপ্তাহে প্রায় ১ লাখ সিরীয় পালিয়ে তুরস্ক সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। ঐ এলাকায় এরই মধ্যে প্রায় ১০ লাখ সিরীয় শরণার্থী বাস করছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইদলিবকে যুদ্ধ প্রশমিত এলাকায় পরিণত ঐক্যমত্যে পৌঁছেছিল তুরস্ক ও সিরিয়া। তবে এরপরও আসাদ সরকারের বাহিনী ঐ এলাকায় হামলা অব্যাহত রাখে। এ পর্যন্ত হামলায় ১ হাজার ৩০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ইদলিবের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানকার হাজার হাজার মানুষ তুরস্কে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে তুরস্ক। তিনি জানান, তুরস্ক নতুন করে আর সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে পারবে না।
প্রায় ৩০ লাখ লোক ইদলিবে বসবাস করে। এটাই দেশটির সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল যেখানে বিদ্রোহী যোদ্ধা এবং জিহাদিরা অবস্থান করছে। তারা প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ বাহিনীর বিপক্ষে লড়াই করে যাচ্ছে। এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, ইদলিবের এই লোকজনের ওপর সহিংসতা যদি বন্ধ না হয় তবে এই সংখ্যা আরো বাড়বে।