ফ্রান্সকে মুসলিম বিশ্বের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ইরানের
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের কারণে মুসলিম বিশ্বের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরানের জাতীয় সংসদ। সংসদ বলেছে, বিশ্ব ইহুদিবাদী চক্রের সদূরপ্রসারি পরিকল্পনার আওতায় একের পর এক বিশ্বনবী (সা.)-এর অবমাননা করে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান ইরানের সংসদ সদস্যরা।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, মুসলিম বিশ্ব আরেকবার মানুষরূপী শয়তানদের নোংরা ও কুরুচিপূর্ণ চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ দেখতে পেয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো কথিত মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে তাদের শয়তানি মতাদর্শের দুর্গন্ধ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এতে আরো বলা হয়, শুধু মুসলমানরা নয় বরং সকল ঐশী ধর্মের প্রকৃত অনুসারীরা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর অবমাননার নিন্দা জানিয়েছে। এ অবস্থায় যদি এখনই এই অবমাননাকে রুখে দেয়া না হয় তাহলে এরপর এসব নিকৃষ্ট লোক হযরত ঈসা মাসিহ (আ.) ও হযরত মূসা কালিমুল্লাহর (আ.) অবমাননা করতেও পিছপা হবে না।
বিবৃতিতে ইসলাম অবমাননার এই শয়তানি ও নিকৃষ্ট কাজকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যায়িত করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে ইরানের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, ফরাসি সরকারকে এই জঘন্য কাজ করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এই ন্যাক্কারজনক কাজ করার জন্য পুরো মুসলিম উম্মাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
এদিকে ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবির প্রধান আব্দুল আলী আসকারি ফ্রান্সে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে বিশ্বনবী (সা.) এর অবমাননার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি এক বার্তায় ফ্রান্স সরকারের জঘন্য চরিত্র উন্মোচন করে দেয়ার জন্য পুরো মুসলিম উম্মাহসহ বিশ্বের সকল স্বাধীনচেতা মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাক-স্বাধীনতার ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শন করেন। এ ঘটনার পর গত ১৬ অক্টোবর ১৮ বছর বয়সী এক চেচেন কিশোর স্যামুয়েলকে শিরচ্ছেদ করে হত্যা করেন। স্যামুয়েল হত্যাকাণ্ডের পর ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শনী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্কের টানা পড়েন তৈরি হয়েছে।
সূত্র: পার্সটুডে