পা রাখলেন ৪২ বছরে
একটা সময় ছিলো শাবনূর মানেই সুপারহিট চলচ্চিত্র। শাবনূর মানেই দর্শকের সেরা পছন্দ। ভালোবেসে অনেকেই তাই শাবনূরকে ঢাকাই ছবির রানী বলে ডাকেন।
আজ এই লাস্যময়ী অভিনেত্রীর জন্মদিন। এবারে তিনি ৪১ বছর পূর্ণ করলেন। পা রেখেছেন ৪২ বছরে। জীবনের এই বিশেষ দিনটিতে ভক্তদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি।
পারিবারিক আয়োজনে অস্ট্রেলিয়াতে কাটছে শাবনূরের জন্মদিন। সঙ্গী একমাত্র পুত্র আইজান নিহান, বোন ও ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা। তার পর্দার পেছনের নাম নূপুর। তার প্রথম চলচ্চিত্র কিংবদন্তি পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’। ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর ছবিটি মুক্তি পায়। সাব্বিরের বিপরীতে অভিনীত চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়।
তবে শাবনূরের মুগ্ধতার ইতিহাস শুরু ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জহিরুল হক পরিচালিত ‘তুমি আমার’ ছবিটি দিয়ে। সালমান শাহের সঙ্গে জুটি বেঁধে এই নায়িকা ১৪টি ছবি করেন। তার সবগুলোই রেকর্ড সংখ্যকভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য পায়। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সফল জুটিগুলোর অন্যতম। বলা হয়ে থাকে সালমান-শাবনূর জুটি ইন্ডাস্ট্রির মিথ।
পরবর্তীতে এদের আদর্শ মেনেই এখানে নায়ক-নায়িকার জুটি গড়ে উঠেছে। তবে সালমানের যুগে ওমর সানী, অমিত হাসান, আমিন খান, বাপ্পারাজদের সঙ্গেও অভিনয় করে সফলতা পান শাবনূর।
সালমান মৃত্যু পরবর্তী সময়ে রিয়াজের সঙ্গে জুটি গড়ে আকাশ ছোঁয়া সাফল্যের দেখা পান শাবনূর। রিয়াজের সঙ্গে প্রায় অর্ধশত চলচ্চিত্রে জুটি বাঁধেন তিনি এবং প্রায় সব ছবিই ছিলো ব্যবসায়িকভাবে সফল এবং আলোচিত। বলা হয়ে থাকে, রিয়াজ-শাবনূর জুটির পর ঢাকাই চলচ্চিত্রে সবশ্রেণির দর্শকের কাছে জনপ্রিয় সুপারহিট আর কোনো জুটি আসেনি।
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে শাবনূরের আরও একটি বড় অর্জন ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসা। পাশাপাশি অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার ও সর্বাধিক ১০বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার।