১২ বছর বালকের বিস্ময়কর আবিস্কার !
গত জুলাইয়ে বাবা ডিওন হার্শকিনের সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়েছে কানাডার অ্যালবার্টা অঞ্চলে। যেই এলাকা আবার বিলুপ্ত প্রাণীর ফসিলে সমৃদ্ধ। বেড়াতে বেড়াতেই হয়তো ‘জীবনের সেরা’ কাজটি করে ফেলেছে ১২ বছরের ছোট্ট বালক, নাথান হার্শকিন।
৬ কোটি ৯০ লাখ বছর আগের ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিস্কার করে তাক লাগিয়ে দেয় ছো্ট্ট বালক। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ডাইনোসরের কঙ্কাল খোঁড়ার কাজ পুরোপুরি শেষ হয়।
নাথান বলে, এগুলো দেখা সত্যি আনন্দের। কয়েক মাস কাজ করার পর শেষ পর্যন্ত কিছু বের করে আনা গেছে। পাথরের মধ্যে ডাইনোসরের হাড়ে চোখ পড়তেই সে আক্ষরিক অর্থেই ‘বাকরুদ্ধ’ পড়ে। বিবিসিকে নাথান বলে, ‘আমি এমনকি উত্তেজিত পর্যন্ত হইনি। যদিও আমি জানি সে সময় আমার উত্তেজিত হওয়ারই কথা ছিল। আমি বিশাল এক ধাক্কার মতো খেয়েছিলাম। যে আমি ডাইনোসরের কঙ্ককাল আবিষ্কার করে ফেলেছি।
গত বছরের ঘটনা। নাথান ও তার বাবা বেড়াতে এসে ফসিলের টুকরা দেখতে পেয়েছিল। তখনই ডিওন হার্শকিন অনুমান করেছিলেন এই টুকরাগুলো ওপরের পাথরের খণ্ড থেকে পড়ছে। সে কারণে নাথান এবারের গ্রীষ্মে আবারও এলাকাটি দেখতে আসে। পাথরের পাহাড়ের এক পাশ দিয়ে হাড়গুলো বের হয়েছিল অনেকটা।
এটা দেখেই নাথান তার বাবাকে ডেকে বলে, বাবা তোমাকে ওপরে এসে এটা দেখতে হবে।
নাথানের বাবা ডিওন বলেন, এগুলো দেখতে আক্ষরিক অর্থেই পাথরের তৈরি হাড়ের মতো দেখাচ্ছিল। এগুলো দেখে কারওই ভুল হওয়ার কথা নয়।
নাথান জানত যে, ফসিলগুলোকে আইনের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া আছে। মানে এগুলো তুলতে কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে, অনুমতি লাগবে। বাড়িতে ফিরে নাথান রয়্যাল টায়ররেল জাদুঘরের ওয়েবসাইটে যায়। সেখান থেকে তাদের বলা হয় তারা যে কঙ্কাল দেখেছে সেটার ছবি এবং গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) নির্ধারণ করে পাঠাতে।
পাথরের পাহাড়ের গিরিখাদের দেয়াল থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৫০টি হাড় পেয়েছে তারা। সবগুলোই একটি ছোট হ্যাড্রোসরাসের হাড়। যার বয়স আনুমানিক তিন অথবা চার বছর হবে।
এক বিবৃতিতে জাদুঘরের ইকোলজি কিউরেটর বলেন, এই হ্যাড্রোসরাসটির আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অ্যালবার্টায় আসলে কী রকমের ডাইনোসর বা প্রাণী বাস করত সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা অনেক কম। নাথান ও তার বাবা ডিওনের এই আবিষ্কার ডাইনোসরের বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের খালি অংশ পূরণে সাহায্য করবে।
সূত্র: বিবিসি।