মহানবী (সা.)’র ১৪০০ বছর আগের বাণী মিলে গেল যেভাবে…
ধীরে ধীরে ইসলামের অনেক বিষয়কে বিজ্ঞান স্বীকৃতি দিচ্ছে। যদিও মুসলিমরা কখনোই বিজ্ঞানের জন্য অপেক্ষা না করেই দৃঢ়ভাবে ইসলামের প্রতি বিশ্বাস রাখেন।
দুনিয়ায় যারা আল্লাহর হুকুম এবং হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর দেখানো পথে অনুসরণ করবেন তারা জান্নাতে যাবেন। সেখানে তারা পরম শান্তিতে বসবাস করবেন। যার শুরু আছে, শেষ নেই। জান্নাতিদের জন্য সেখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় নেয়ামত আল্লাহর দিদার দর্শন। জান্নাতের নেয়ামত, সুখ শান্তি, ঐশ্বর্য সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে বহু বর্ণনা রয়েছে।
জান্নাতে প্রবেশের জন্য আটটি দরজা রয়েছে। মর্যাদা অনুযায়ী এসব দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন যারা সফল হয়েছেন। প্রত্যেকটি দরজায় দুটি করে পাল্লা রয়েছে। নবী কারিম (সা.) দুই পাল্লার মধ্যবর্তী জায়গা কতটা প্রশস্ত সে সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন।
বিশুদ্ধ গ্রন্থ মুসলিম শরিফের এক হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, জান্নাতের দরজার দুই পাল্লার মাঝখানের প্রশস্ততা মক্কা শরিফ থেকে বাহরাইনের হাজার অথবা মক্কা শরিফ থেকে সিরিয়ার বুশরার দূরত্বের সমান।
১৪০০ বছর আগে মহানবী (সা.) এই বাণী দিয়েছেন। নবী যদি বলতেন, জান্নাতের দরজার দুই পাল্লার মধ্যবর্তী দূরত্ব মক্কা শরিফ থেকে হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত, তাহলে এ নিয়ে এই মুহূর্তে হয়তো আলোচনা হতো না। তাই তিনি সঙ্গে সঙ্গে বলেছেন, অথবা জান্নাতের দুই দরজার মধ্যবর্তী দূরত্ব মক্কা শরিফ থেকে বুশরার দূরত্বের সমান। মহানবীর এ কথায় স্পষ্ট যে, মক্কা থেকে হাজার বা মক্কা থেকে বুশরার দূরত্ব সমান।
সম্প্রতি স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে পাওয়া ছবিতেও দেখা গেছে মক্কা থেকে বুশরা এবং মক্কা থেকে বাহরাইন হাজার দূরত্বে অবস্থিত। রোববার ইসলাম প্র্যাকটিস নামে একটি ফেসবুক পেজ তাদের এক পোস্টে বিষয়টি তুলে ধরেছে। সেখানে স্যাটেলাইটে পাওয়া ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, মক্কা থেকে সিরিয়ার বুশরার দূরত্ব এক হাজার ২০০ কিলোমিটার। অন্যদিকে মক্কা শরিফ থেকে বাহরাইনের দূরত্বও এক হাজার ২০০ কিলোমিটার।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন শেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ (স.)। ৪০ বছর বয়সে তিনি আল্লাহর তরফ থেকে নবুওয়াত লাভ করেন। ৬১০ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইসলাম প্রচার শুরু করেন। ৬২২ খ্রিস্টাব্দে তিনি মদিনায় হিজরত করেন। দীর্ঘ ২৩ বছর একটু একটু করে প্রয়োজন অনুযায়ী মহানবীর (সা.) ওপর কোরআন নাজিল হয়। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ওফাত লাভ করেন।