fbpx
হোম জাতীয় বুয়েট শিক্ষার্থীদের নতুন ১০ দফা
বুয়েট শিক্ষার্থীদের নতুন ১০ দফা

বুয়েট শিক্ষার্থীদের নতুন ১০ দফা

0

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে নতুন করে ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবি জানানো হয়।

আবরার হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে বুয়েট ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেছে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ১০ টায় মৌন মিছিল শেষে বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম আবরার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। একইসাথে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধের দাবি জানান তিনি।

বুধবার সকালে বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের ১০ দফা দাবি পড়ে শোনান।

তারা বলেন, আবরার হত্যার ৩০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও ভিসি ঘটনাস্থলে কেন উপস্থিত হয়নি। পরে এলেও আন্দোলনকারীদের অপদস্থ করা হয়। এ জন্য বিকাল ২টার মধ্যে ভিসিকে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহি করার আলটিমেটাম দেন আন্দোলনকারীরা।

এ সময় বক্তারা বলেন, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ১১ অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে সিসিটিভিতে শনাক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে।

আন্দোলনকারীরা জানান, মামলার সব খরচ ও আবরারের পরিবারের ক্ষতিপূরণ বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে। মামলাটি দ্রুততম ট্রাইব্যুনালে অধীনে দ্রুত নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করতে হবে।

দাবিতে আরও বলা হয়, র‌্যাগের নামে শারীরিক ও মানসিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।

ছাত্ররা আরও দাবি করেন, পূর্বে ঘটা এ ধরনের নির্যাতন ও পরে ঘটা নির্যাতন প্রকাশের জন্য একটি কমন প্ল্যাটফরম তৈরি করতে হবে। তা রিভিউ করে দ্রুততম বিচারের ব্যবস্থা করা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয়।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *