ঘটনা শোনার পরই ভিসির ক্যাম্পাসে যাওয়া উচিত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হত্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের ক্যাম্পাসে যাওয়া উচিত ছিল। মঙ্গলবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভিসির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উনি কেমন ভিসি? একটা ছাত্র মারা গেল, আর তিনি এতটা সময় বাইরে ছিলেন? আবরারের জানাজায়ও তার অংশ নেয়া উচিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এর সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি পেতেই হবে। কাউকে একচুলও ছাড় দেয়া হবে না। শুধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই নয়, আমি একজন মা হিসেবে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করব।
এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ। এর আগে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত নেতারা জানান, বুয়েটের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী খুবই মর্মাহত। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিমর্ষ দেখা যায়।