কাশ্মীরের ভয়ার্ত দিনের বর্ণনা দিলেন কাশ্মীরি শিক্ষার্থী
কাশ্মীরের সেই ভয়াল দিনগুলো কাছ থেকে দেখেছে এমন একজন শিক্ষার্থীর সাথে বসে কথা বলছিলাম কিছুক্ষণ আগে। গতরাতেই সে কাশ্মীল থেকে ফিরে এসেছে। সাইয়্যেদ রেজভি নামের মেডিকেল শিক্ষার্থীর বাসা কাশ্মীরের বুদগাম নামক এলাকায়।
গত ৫ আগস্ট যখন ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিল সেসময় তিনি কাশ্মীরে অবস্থান করছিল। হঠাৎ করে এমন অবস্থায় পড়বে তা তাঁর ভাবনাতেও আসেনি। রাতের আঁধারে তাঁদের নিকটবর্তী বাসায় ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনী হানা দিয়ে তাঁদের দুই প্রতিবেশীকে হত্যা করে, এমন সব ভয়াল ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলো রেজভি।
এছাড়াও মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া তো রুটিনের মত তাঁদের কাজ ছিল। তিনি বা তাঁরা কেউই জানেনা এখন পর্যন্ত কতজন কাশ্মীরিকে হত্যা করা হয়েছে বা হচ্ছে। সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার ঘোষণার দিন থেকে ইরানে আসার দিন পর্যন্ত দিনের পুরো সময়টায় তাঁদের বাসায় কাটাতে হয়েছে। এ যুগে এসেও তাঁদের ইন্টারনেটবিহীন পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন এক জগতে বাস করতে হয়েছে বা হচ্ছে।
চারদিকে দোকানপাট বন্ধ থাকায় তাঁদের খাবার কেনা নিয়েও পড়তে হয় বিপাকে। তাঁদের এলাকায় এ ঘোষণার প্রতিবাদে প্রথমদিকে কাশ্মীরিরা রাস্তায় নেমে আসে কিন্তু ভারতীয় সেনাদের গুলির কারণে তা বেশি স্থায়ী হতে পারেনি। এখনও অসহায়ত্বের মাঝে দিন পার করছেন কাশ্মীরবাসী এমনটাই জানালেন তিনি।
রেজভি গত ১০ তারিখ আতঙ্কের মাঝেই ভোঁরে বাসা থেকে বিমানবন্দরের পথে রওনা দেন এবং আল্লাহর রহমতে কোন বিপদ ছাড়াই কাশ্মীর ত্যাগ করে ইরানে পৌঁছেন । তবে বিমানবন্দর ত্যাগ করার পরে তিনি আর তাঁর পরিবারের সাথে কথা বলতে পারেন নি। সাথে তিনি এও জানেন না, তাঁর পরিবারের সাথে কবে আবার তাঁর কথা হবে এবং দেখা করার সুযোগ হবে।
রেজভি দোয়া চেয়েছেন সবার কাছে।