মৌসুমীকে হারানো হয়েছে?
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে মিশা-জায়েদের পূর্ণ প্যানেলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ছিল মৌসুমী-তায়েব প্যানেলের। কিন্তু মনোয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ পর্যায়ে এসে একা হয়ে যান জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। প্যানেলের সবাই সরে দাঁড়ালেও একাই লড়াইয়ের ঘোষণা দেন মৌসুমী।
নির্বাচন নিয়ে শঙ্কাও ছিল। শঙ্কা কাটিয়ে উৎসবের মধ্যে শেষ হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের দিন ফলাফল প্রকাশের আগেই অনেক ভক্ত তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে শুভেচ্ছা দেন। মৌসুমীকে দেয়া বিভিন্ন শুভেচ্ছা বার্তা স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সবাই অপেক্ষা করেন চলচ্চিত্র সমিতির নতুন ইতিহাস দেখার। কিন্তু তা গুজবই থেকে যায়।
মৌসুমীকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান নির্বাচিত হয়েছেন।
অনেক আশা জাগিয়েও ইতিহাস করতে পারলেন না প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায় ২২৭ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর। মৌসুমী পেয়েছেন ১২৫ ভোট। অর্থাৎ ১০২ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মিশা সওদাগর।
এদিকে নির্বাচনের দুদিন পরেও আলোচনা হচ্ছে কিভাবে এতো জনপ্রিয়তা নিয়ে হেরে গেলেন মৌসুমী, তাও এমন বিশাল ব্যবধানে। আবার যেখানে দুর্নীতির কোনো আলামতও মেলেনি।
এদিকে, আলোচনায় বারবার ঘুরে ফিরে আসছে শিল্পী সমিতির ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কৌশল। অনেকে এটাকে অপরাজনীতি বলেও অভিহিত করছেন। তবে রাজনীতির মাঠে ভোটার জোগাতে এমন পলিটিক্সকে স্বাভাবিক বলে মানছেন স্বয়ং মৌসুমীও।
তবে কোন কোন বিশ্লেষক বলেন, মৌসুমীর হারার কারণ হতে পারে এরকম যে,মৌসুমী কারো ফোন সরাসরি ধরেন না অন্য কাউকে দিয়ে ফোন রিসিভ করান এবং সাংবাদিকরা কল দিলেও তিনি ধরেন না।
এছাড়া শিল্পীদের সাথে মৌসুমীর উঠা-বসা ও যোগাযোগ তুলনামূলক কম।
ওমর সানি বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রকৃত শিল্পীরা মৌসুমীকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু শিল্পী সমিতিতে আরো দুইটা অংশ রয়েছে। নৃত্যশিল্পী ও ফাইটের লোকজন। এদের মধ্যে ফাইটের যে গ্রুপটা রয়েছে তাদের কাছ থেকে আমরা ভোট পাইনি। এরা নির্বাচনের সময় সবাই এক হয়ে যায়। এদেরকে কিভাবে তারা ম্যানেজ করেছেন সেটা আমি বলতে চাই না। হেরে যাওয়ার এটা অন্যতম কারণ। তারপরও বলবো যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন। আশা করছি তারা ভালো কাজ করবেন।
মৌসুমীকেও তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রতিবন্ধকতার মুখেও লড়াই করার জন্য। এদিকে, চেঞ্জ টিভিকে মৌসুমী জানান, তিনি ফলাফল মেনে নিয়েছেন। এ নিয়ে কোনো বিতর্কও করবেন না মৌসুমী।