fbpx
হোম ক্রীড়া সাকিবের জন্য আক্ষেপ মাশরাফির
সাকিবের জন্য আক্ষেপ মাশরাফির

সাকিবের জন্য আক্ষেপ মাশরাফির

0

ধারাভাষ্যকার, প্রাক্তন ক্রিকেটার কিংবা ক্রিকেট বোদ্ধা প্রত্যেকেই সাকিব বন্দনায় মেতেছেন। ব্যাট হাতে ৬০৬ রান ও বল হাতে ১১ উইকেট।  পরিসংখ্যানগুলো সাকিবের নামের পাশেই মানায়।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে সাকিব নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। এর আগে মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপের এক আসরে ছয়শ বা এর বেশি রান করেছেন।  সাকিব তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে যোগ দিলেন এলিট সেই ক্লাবে।  শচীন টেন্ডুলকার ও ম্যাথু হেইডেন ২০০৩ এবং ২০০৭ সালে রান করেছিলেন যথাক্রমে ৬৭৩ ও ৬৫৯।

৮ ইনিংসে সাকিবের রান ৬০৬। ব্যাটিং গড় ৮৬.৫৭। স্ট্রাইক রেট ৯৬.০৩। দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরি পাঁচটি। বোলিংয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। এছাড়া নিয়মিত ব্রেক থ্রু ও দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাফল্য এনে দিয়েছেন।  অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে সাকিব বুঝিয়েছেন কেন তিনি এক নম্বর অলরাউন্ডার।

সাকিবের ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ শো’র পরেও বাংলাদেশ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে পারেনি।  অনেকেই সাকিবের হাতে দেখছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। কিন্তু সাকিবকে চ্যালেঞ্জ করার ক্রিকেটার এখনও টিকে আছেন বিশ্বকাপে। রোহিত শর্মা ৫৪৪ ও ডেভিড ওয়ার্নার ৫১৬ রান নিয়ে আছেন দুই, তিনে।  সাকিবের শ্রেষ্ঠত্ব বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত টিকবে কিনা তা সময় বলে দেবে।

সাকিবের জন্য তাই আক্ষেপ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার।  পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে অধিনায়কের কন্ঠে হতাশার সুর, আক্ষেপ এই মুহুর্তে অবশ্যই সাকিবের জন্য খারাপ লাগছে। এটাই সবচেয়ে বড় আক্ষেপ। সাকিব যেভাবে খেলেছে, তাতে করে আমাদের সেমিফাইনাল না খেলাটা হতাশার। একটা দলের খেলোয়াড় এমন পারফরম্যান্স করলে স্বাভাবিক ভাবেই তারা সেমিফাইনাল খেলবে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত আমরা পারিনি। যখন রান করার দরকার ছিল, যখন ক্যাচ ধরার দরকার ছিল, যখন ফিল্ডিংটা ভালো হওয়ার দরকার ছিল হয়নি। যখন ভালো বোলিং করার দরকার ছিল আমরা স্টেপ আপ করতে পারিনি।

 

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *