সমুদ্র সৈকতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ একজন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে রাজশাহী প্রকৌশল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মধ্যে মোহাম্মদ রফিক (২১) এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে কক্সবাজার শহরের বৈদ্যরঘোনা এলাকার মো: জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। শনিবার (১০আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অপর শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম (২১) এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মো: আশিকুর রহমান জানিয়েছেন, বিকালে মোহাম্মদ রফিক নামের এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পুলিশ ও লাইভগার্ড কর্মীরা। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট গোসল করার সময় পানির স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হয়। এ সময় ৩জন ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গত দুইদিন আগে রাজশাহী থেকে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারে বেড়াতে এসে সাগরে গোসল করতে নামেন। এসময় তারা পানিতে ভেসে যায় বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো: জিল্লুর রহমান জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে একজনকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থী সকালে নিখোঁজ দুই ছাত্রের একজন মোহাম্মদ রফিক।
তিনি জানিয়েছেন, ‘সকালে নিখোঁজ দুই ছাত্রসহ ৮ থেকে ১০জনের একটি দল সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ফুটবল খেলে। খেলার এক পর্যায়ে সবাই সাগরে গোসল করতে নামেন। এ সময় সাগরে উত্তাল ঢেউয়ের টানে ভেসে যায় তারা। পরে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয় লাইভগার্ড কর্মীরা সাগরে তল্লাশী অভিযান চালিয়ে আহমেদ (২১), ইমরুল শাহেদ (২১) ও মোবাশ্বেরুল ইসলাম (২১) কে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় আরও দুইজন ছাত্র নিখোঁজ ছিল। এদের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে নিখোঁজ ছাত্রকে উদ্ধারের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লাইভগার্ড কর্মীরা।