পেঁয়াজের কেজি ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা !
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীতে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ৮০ টাকা আর বিদেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকা। আজ সোমবার সকালেই বাজারে আগুন! দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা আর বিদেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৩০ টাকা!
চেঞ্জ টিভির অনুসন্ধানে জানা যায়, পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত—গতকাল রোববার এ সংবাদে দেশের বাজারে হু হু করে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম।
এদিকে রাতারাতি এত দাম বেড়েছে কেন—জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি এক বিক্রেতা বলেন, গতকাল দুপুরের পরও প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ৭২ টাকায়। সন্ধ্যায় তিনি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন। আজ সকাল থেকে তিনি ১০৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, কাল দুপুরের পর থেকেই তাঁর কেনা দাম বেশি পড়ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গতকাল রোববার রপ্তানি নীতি সংশোধন করে পেঁয়াজকে রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রপ্তানি বন্ধের ওই সিদ্ধান্ত রাতারাতি কার্যকর করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরটি গতকাল বেলা তিনটার দিকে ভোমরা ও সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আসে। তখনই বাংলাদেশের পথে থাকা সব ট্রাক আটকে দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আর এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে সময় লাগেনি।
দেশের বাজারে চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকেই পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম মূল্য টনপ্রতি ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়। এক দিন পর বাংলাদেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বাড়ে প্রায় ১৫ টাকা। এরপর আরও কয়েক দফা দাম বেড়ে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭৫-৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। এর মধ্যে গতকাল পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিল ভারত।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বন্যা ও ভারী বৃষ্টির কারণে এবার সে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। ভারতের দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যের বাজারে গত সপ্তাহে থেকে ৭০ থেকে ৮০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দেশের বাজারে পেঁয়াজের জোগান স্বাভাবিক রাখতে ভারতের সরকার রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।