fbpx
হোম রাজনীতি গণফোরামের ভাঙ্গন আর উত্তাপ বেড়েই চলছে
গণফোরামের ভাঙ্গন আর উত্তাপ বেড়েই চলছে

গণফোরামের ভাঙ্গন আর উত্তাপ বেড়েই চলছে

0

গণফোরামে চলছে ভাঙ্গন আর উত্তাপ । এনিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা ।

গত সপ্তাহে গণফোরামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে ৪ মার্চ দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন । ভেঙে দেওয়ার ৩ দিনের মাথায় তাকে না জানিয়েই গণফোরামের ব্যানারে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে ভেঙে দেওয়া কমিটির একাংশ । আর এই সভার মধ্য দিয়ে আবারও দৃশ্যপটে এসেছেন দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মসহিন মন্টু । সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাদ পড়ার প্রায় ১০ মাস পর রাজনীতিতে প্রকাশ্যে আসেন তিনি ।

এ বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি কোনও সভা সম্পর্কে জানি না । কাল খোঁজ নেবো । কারা গণফোরামের ব্যানারে সভা করেছে ।

গণফোরামে বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কারের মধ্যে ৪ মার্চ ‘দলে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা’র কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেন ড. কামাল । একইসঙ্গে দুই সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করেন তিনি । সেই কমিটিতে সভাপতি তিনি নিজেই এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ভেঙে দেওয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়াকে ।

৭ মার্চের সভা আয়োজনকারীরা বলছেন, ড. কামাল দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক না ডেকে কিছু লোকের পরামর্শে কমিটি ভেঙে দিয়েছেন । এতে দল থেকে বাদ পড়া বড় একটি অংশ তার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি । এই কারণে আজ তাকে না জানিয়ে সভা করা হয়েছে । এখন গণফোরামকে বাঁচাতে হলে সবাইকে ডেকে সমঝোতা করতে হবে তাকে । আর তিনি যদি তা করেন তাহলে গণফোরাম নামে আরেকটি দল গঠিত হলে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই ।

আলোচনা আয়োজনকারীদের একজন ভেঙে দেওয়া কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারি হামিম । তিনি জানান, ভেঙে দেওয়া কমিটির নির্বাহী সভাপতি ড. আবু সাইয়িদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোস্তাক মহসীন মন্টু, প্রধান বক্তা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীসহ অনেকে ।

মোস্তাফা মহসিন মন্টু  বলেন, আজকের সভার সভাপতি আবু সাঈদ আমাকে দাওয়াত দিয়েছেন । আমি গিয়েছি । অসুস্থতা ও বিভিন্ন কারণে অনেকদিন রাজনীতিতে ওইভাবে ছিলাম না এটা ঠিক ।

ড. কামালকে না জানিয়ে গণফোরামের ব্যানারে সভা করা কতটুকু যুক্তিযুক্তি জানতে চাইলে মন্টু বলেন, কমিটি ভাঙার আগে কামাল হোসেনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিল । আমি বলেছিলাম যে বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কার না করে সবাইকে নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করেন । আবার সবাইকে নিয়ে শুরু করেন । এতে তিনি রাজিও হয়েছিলেন । কিন্তু এরপর আমাদের কিছুই না জানিয়ে কমিটি ভেঙে দিয়েছেন । এটা তো তিনি করতে পারেন না ।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটি ভেঙে দেওয়া যেতে পারে । এটাতো কোনও লিমিটেড কোম্পানি না । কোনও কোম্পানিতে ম্যানেজিং ডিরেক্টর যা খুশি করতে পারেন । রাজনৈতিক দলে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় কমিটিতে আলোচনা করে নিতে হয় । আমি নিজেই কেন্দ্রীয় কমিটির মেম্বার, কিন্তু কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে কিছুই জানি না ।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *