fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা আবরার হত্যা নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তারকারা
আবরার হত্যা নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তারকারা

আবরার হত্যা নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তারকারা

0
রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সোমবার ভোরে শের-ই-বাংলা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির মধ্যবর্তী জায়গায় আবরারের নিথর দেহ পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্যাতন করে হত্যা করার ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। এর প্রভাব পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ড শোবিজ অঙ্গনের তারকাদেরও আবেগঘন করে তুলেছেন।

আবরার ফাহাদতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফেসবুকে শোবিজ অঙ্গনের লোকরাও মর্মাহত। এমন নেক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন আবার কোনও কোনও তারকারা অন্যের স্ট্যাটাসটি নিজের ওয়ালে শেয়ার করেছেন। এদের মধ্যে আছেন সংগীত শিল্পী আসিফ আকবর, অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন, জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ আরও অনেক তারকা।

আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফেসবুকে মঙ্গলবার দুপুরে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। তার স্ট্যাটাসটি চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-  ‘ফেসবুকে আবরারের পিঠটার ছবি দেখলাম। কি ভয়ংকর! কি নৃশংস! কি কষ্ট! এই ছবিটা যেন তার বাবা-মা’র চোখে না পড়ে। ভুল বলেছি। আবরারের বাবা, আবরারের মা তাদের বাবুটার ক্ষতবিক্ষত পিঠে হাত বুলিয়ে যেন অভিশাপ দেন মানুষের মতো দেখতে খুনী অমানুষগুলোকে। তাদের অভিশাপে যেন ধ্বংস হয়ে যায় এই অসুস্থ সমাজ।

সবশেষে তিনি লিখেছেন, নুসরাতকে ভুলে গিয়েছি, আবরারকেও ভুলে যাব, বিচার চাই বলে লাভ আছে কিনা জানি না তবুও, বিচার চাই।

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেন, বুয়েটের নিউজটা মাত্র দেখলাম। দেখে গলাটা শুকাইয়া গেলো। এই সমাজইতো আমরা সবাই মিলে বানাচ্ছি, নাকি? যেখানে আমার মতের বিরোধী হলে তাকে নির্মূল করা আমার পবিত্র দায়িত্ব। আমাদের সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয় নেতারা সবাই মিলে তো এতো বছর এই কামই করছি, এই ভাবেই একটা প্রজন্ম বানাইছি! আর আমাদের এই নির্মূলবাদী মন বানানো হইছে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের ওয়ার্কশপে! তাই আমি তোমাদের অভিশাপ দেই! আমি অভিশাপ দেই কারণ তুমি এই ঘৃণা আর নির্মূল তত্ত্বকে মহৎ বানিয়ে প্রচার করেছো দেশের নামে, জাতীয়তার নামে, ধর্মের নামে, লিঙ্গের নামে, আমার নামে, তোমার নামে! আমি অভিশাপ দেই তাদের যারা আমাদের সমাজটাকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করালো যেখানে অপ্রিয় কথা বলার জন্য সহপাঠীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়! আমি অভিশাপ দেই! অভিশাপ দেই! অভিশাপ দেই! কারণ আমার কিচ্ছু করার ক্ষমতা নাই, কেবল অভিশাপ দেয়া ছাড়া!

জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর জাহারা মিতুর স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন, যে পিতার কাঁধ, বইছে অগাধ, পুত্রের লাশ, যে মায়ের চোখ, সমুদ্র শোক, কন্যার শ্বাস। সে বাবার বুক, মৃত্যু অসুখ, বেদনার বিষে, সে মায়ের কোল, শূন্য আঁচল, ভরে যাবে কীসে! জানেনা কী খুনী, ঘৃণা কতখানি, রক্তের স্বাদে, কতখানি শ্বাস, বইছে বাতাস, অভিশাপ বাদে! কতটুকু আর, এ ব্যথার ভার, সইবে আকাশ, কতটুকু ঘৃণা, সইতে পারেনা, জানবে বাতাস! তারপরও যদি, রক্তের নদী, লাশে ভাসে, ভাসুক,
মানুষের মন, মরেছে যখন, দিকে দিকে মৃত্যু আসুক!

প্রখ্যাত গীতিকার প্রিন্স মাহমুদ লেখেন, আবরার ফাহাদ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্র। সে ঢাকা মেডিকেলেও চান্স পেয়েছিল। ঘুমানোর আগে অন্ত্যত একটা প্রতিবাদ করে ঘুমান। আমাদের বাচ্চারাও বড় হচ্ছে।

নাট্যকার মাসুম রেজা লেখেন, ‘কান্দিগো মা, কান্দি পিতা, কাঁদিয়া জুড়াই প্রাণ/কবরে শুইয়েছো যারে সেতো আমাদেরও সন্তান’।

নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী লেখেন, শুভ বিজয়ার এই দিনে মন ভালো নেই। বনানী ছাড়া কোথাও যাইনি, কোথাও না। শুধুই মনে হচ্ছে, এই ছেলেটি (আবরার) আমার সন্তান হতে পারতো। প্লিজ মতের মিল না হলে আমাকে মেরে ফেলেন না,আমাদের সন্তানের উপরেও এই কাজ করেন না। প্লিজ। মা বাবারা সহ্য করতে পারেন না। আমি লজ্জ্বিত,ভীত। সকল সন্তান নিরাপদ থাকুক।

নির্মাতা রেদওয়ান রনি লেখেন, এ কোন বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি আমরা? ভিন্নমত হলেই পিটিয়ে মেরে ফেলবেন? অতি উৎসাহী জানোয়ারগুলো দেশের কত বড় ক্ষতি করছে জানে? দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই, অবিলম্বে।

চিত্রনায়ক জায়েদ খান লেখেন, যার সন্তান আছে শুধু তারাই কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারবেন। দুঃখিত বাবা। আফসোস মানবতা কোথা!

উপস্থাপিকা মারিয়া নুর আবরার ফাহাদের বাবার একটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, এখন বাংলাদেশ এটাই।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *