বাংলাদেশের উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষয়-ক্ষতির চিত্র
বুলবুলের আঘাতে ক্ষয়-ক্ষতির চিত্র
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ১১ জেলায় মোট ১৪ জন নিহত হয়েছেন। দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে রোববার ভোররাতে আঘাত হানে বুলবুল। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বেশ কয়েকটি জেলায় বহুসংখ্যক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন ফসল। অন্তত ১ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ে। গাছপালা ভেঙেছে প্রচুর। রাস্তাঘাট, বাধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেক জায়গায়। এর মধ্যে শুধু সাতক্ষীরায় ৫০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
সাতক্ষীরা
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের শঙ্কা কেটে যাওয়ার পর স্পষ্ট হতে শুরু করেছে উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। সাতক্ষীরায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা। স্থানীয়দের দাবি, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে চিংড়ির ঘেরসহ পুকুরের মাছ। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের দাবি, বুলবুলের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৫ হাজার হেক্টর আমন ধান, ১২শ’ হেক্টর সবজি ক্ষেত।
বাগেরহাট
ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বাগেরহাটের শরণখোলাতেও। বহুসংখ্যক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি, রাস্তায় গাছ পড়ে ব্যাহত হয় চলাচল। ফসল নষ্ট হওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় কৃষক। ভেসে গেছে মাছের ঘের।
খুলনা
খুলনার দাকোপ ও দিঘলিয়া উপজেলায় প্রাণহানির পাশাপাশি বিধ্বস্ত হয়েছে হাজারো ঘরবাড়ি। ভেসে গেছে ৭ শতাধিক চিংড়ির ঘের ও পুকুর।
বরগুনা
বরগুনায় বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত ৫শ’ ঘরবাড়ি। নষ্ট হয়েছে ফসল।
ভোলা
ভোলায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৫জন। ক্ষতি হয়েছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, মৎস্য খামার।
অন্যান্য জেলা
বুলবুলের প্রভাবে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাঁদপুর, বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন অঞ্চল।