পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা. রোববার
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা. রোববার (১০ নভেম্বর) পালন করবেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে এ দিনে জন্মগ্রহণ করেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। এবং ৬৩ বছর পর একই তারিখে ইন্তেকাল করেন তিনি। মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি একই সঙ্গে আনন্দ ও বেদনার। যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হবে।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ গোত্রের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেন রাসুল সা.। আরবি পঞ্জিকা অনুযায়ী দিনটি ছিল ১২ রবিউল আউয়াল। ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন তিনি। কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙতে মুক্তির বার্তা আনেন মানব জাতির জন্য। মহানবী সা. দীর্ঘ ২৩ বছর এই বার্তা প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী সা. উপলক্ষে সারাবিশ্বের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নানা অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে নফল নামাজ আদায়, কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটির দিন। বন্ধ থাকবে সংবাদপত্রও। দেশের সব সরকারি, বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল দিনটিতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর সা. গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলোও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
ঈদে মিলাদুন্নবী সা. যথাযথ মর্যাদায় পালনে বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আলোচনা, মিলাদ, দোয়া মাহফিল প্রভৃতি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন পক্ষব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে।
রোববার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মাহফিলের মাধ্যমে মিলাদুন্নবীর সা. অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করা হবে। ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমের পূর্ব সাহানে ওয়াজ মাহফিল করা হবে।