টানা বৃষ্টিপাতে অচল অবস্থায় প্রায় সড়ক !
সক্রিয় হয়ে উঠেছে মৌসুমী বায়ু। এর প্রভাবে টানা তিনদিন ধরে নগর ও উপজেলা জুড়ে দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে শহরের নিচু এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পাশাপাশি জোয়ারের পানি মিশে এ জলজট আরো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে।
এদিকে, আজকেও চট্টগ্রামসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে। ফলে ভারী বর্ষণে ভূমিধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। তাই সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্ততি নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিস।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী ৩৪ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। অন্যদিকে সিভিল সার্জনও নগরে কন্ট্রোল রুম খুলেছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আজও সকাল থেকেই বৃষ্টির দাপট ছিল নগরে। দিন বাড়ার সাথে সাথে কখনো থেমে থেমে আবার কখনো একটানা বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, হালিশহর, ছোটপুল, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, ফালাহ গলির সামনে, গণি কলোনি, কালাম কলোনি, কাতালগঞ্জ, মোহাম্মদপুর, খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইসহ বিভিন্ন এলাকায় জলজট সৃষ্টি হয়। এদিকে সকালেও বৃষ্টির কারণে নগরের নিচু এলাকায় পানি জমে।
সকাল সাড়ে ১১টায় পাহাড়তলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দেখা গেছে কোমর সমান পানি। অলংকার মোড় থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত পানির পরিমাণ ছিল আরো বেশি। জলজটের কারণে কয়েক জায়গায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির অজুহাতে সিএনজি টেক্সি ও রিকশা চালকরা নিয়মিত ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দাবি করেন।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নগরীতে ৭৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।