চার মাসে বিদেশি ঋ ণ শো ধ ১৪৪ কোটি ড লার, এসেছে ১২০ কোটি ড লা র
চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) যত বিদেশি ঋণ এসেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে। এই চার মাসে সুদ ও আসল মিলিয়ে প্রায় ১৪৪ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। একই সময়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশ দিয়েছে ১২০ কোটি ২০ লাখ ডলার। তাতে অর্থ পাওয়ার চেয়ে ঋণ পরিশোধে সাড়ে ২৩ কোটি ডলার বেশি খরচ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জুলাই-অক্টোবর মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের প্রতি মাসেই ঋণ ছাড়ের চেয়ে পরিশোধের পরিমাণ বেশি। এই চিত্র বিদেশি ঋণ ব্যবস্থাপনায় চাপ বাড়াচ্ছে। কারণ, কম অর্থ এসেছে, এর বিপরীতে বেশি অর্থ শোধ করতে হয়েছে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই-অক্টোবর মাসে ঋণ হিসেবে পাওয়া গেছে ১০১ কোটি ১৩ লাখ ডলার। আর অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে ১৯ কোটি ৯ লাখ ডলার। অন্যদিকে একই সময়ে ৮৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার ঋণের আসল বাবদ এবং সুদ বাবদ ৫৪ কোটি ২৩ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে।
এদিকে গত জুলাই-অক্টোবর সময়ে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি নেই বললেই চলে। এই সময়ে মাত্র সাড়ে ২৫ কোটি ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের একই সময়ে প্রায় ৩৬৩ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল।
প্রকল্পের আওতায় বিদেশি ঋণসহায়তার প্রতিশ্রুতি কমে যাওয়ায় এখন বাজেট সহায়তা নেওয়ার দিকে নজর দিয়েছে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। ক্ষমতায় এসে গত কয়েক মাসে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে কয়েক শ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।